সুপারনোভা একধরনের নাক্ষত্রিক বিস্ফোরন যা প্রচন্ড উজ্জ্বল এবং এত বেশি আলো উদগিরিত করে যে তা একটি সম্পূর্ণ গ্যালাক্সির উজ্জ্বলতাকে প্রায়ই ছাড়িয়ে যায়। এ অবস্থা কয়েক সপ্তাহ বা মাস ব্যাপী চলে। এত অল্প সময়ে একটি সুপারনোভা এত বেশি শক্তি নির্গত করতে পারে যে তা আমাদের সূর্য হয়ত তারা সারাজীবনেও নির্গত করতে পারবেনা। সুপারনোভা বিস্ফোরনের সময় এর অ্ভ্যন্তরস্ততারার সমস্ত পদার্থকে সেকেন্ড প্রায় ৩০০০০ কি.মি বেগে বাহিরের দিকে ছুড়ে মারে। আসে পাশে অবস্থিত সকল আন্ত-নাক্ষত্রিক মাধ্যমগুলোতে প্রচন্ড শক ওয়েব বয়ে নিয়ে যায়। এ শক ওয়েব কয়েক আলোক বর্ষ দূর পর্যন্ত সুপারনোভা বিস্ফোরনের ধূলাবালি ও ধোয়া বয়ে নেয়। সুপারনোভার বিস্ফোরন সাধারণত দুইভাবে ঘটে।নক্ষত্রগুলো সাধারণত নিজেদের অভ্যন্তরে চলমান প্রচন্ড নিউক্লিয়ার ফিউশানের ফলে উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হতে চেষ্টা করে অপর দিকে নক্ষত্রগুলোর নিজস্ব মহাকর্ষ বল এদের বহির্ভাগকে টেনে কেন্দ্রের দিকে নেয়াৱ চেষ্টা করে। এ দুটি বলের ভারসাম্যের কারনেইপ্রকৃত পক্ষে কোন নক্ষত্র টিকে থাকে। কিন্তু যখন নক্ষত্রের অভ্যন্তরের নিউক্লিয়ার ফিউশান চলার মত আর কোন জ্বালানিথাকে না তখন এটি প্রচন্ড বেগে নিজের মহাকর্ষের টানে চুপষে যেতে থাকে ফলে প্রচন্ড বিস্ফোরেনের মাধ্যমে এর বাহিরের পদার্থগুলোকে বের করে দেয়। এ বিস্ফোরনই সুপারনোভা। আমাদের মিল্কি-ওয়ের মত সাইজের গ্যালাক্সিতে প্রতি ৫০ বছরে একটি করে সুপারনোভা সংঘটিত হতে পারে।
লিখেছেন…………….