রাক্ষসী অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি ...আসলেই কি রাক্ষসী ? - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

রাক্ষসী অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি …আসলেই কি রাক্ষসী ?

Print this post

বিশাল গ্যালাক্সি অ্যান্ড্রোমিডা ক্রমশ বিশালতর হচ্ছে এই বিষয়টি অনেক আগেই আবিষকৃত হয়েছিলো। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বড় হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় অ্যান্ড্রোমিডা তার আশপাশের অন্যান্য সব ছোট গ্যালাক্সির নক্ষত্রও নাকিখেয়ে ফেলছে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা যখন অ্যান্ড্রোমিডার বিভিন্ন অংশের ছবি নিয়ে পরীক্ষা করেন, তখন তারা আবিষ্কার করেন যে, এতে এমন সব জোতিষ্ক রয়েছে যা আসলে অন্য সব গ্যালাক্সির হজম হয়ে যাওয়া অংশ! বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’-এ বিজ্ঞানীরাতাদের এই সাম্প্রতিক আবিষ্কারের কথা প্রকাশ করেছেন। সংবাদ মাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, অ্যান্ড্রোমিডার এই স্বভাব আগেও বিজ্ঞানীদের ধারণার মধ্যে ছিলো, তবে এ বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বিজ্ঞানীদেরকে অ্যাণ্ড্রোমিণ্ডা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার চিত্র দিয়েছে। জানা গেছে, বিজ্ঞানীদের পক্ষে এই প্রথমবারের মতোই অ্যান্ড্রোমিডার প্রান্তসীমা ভালো করে প্রত্যক্ষণ করা সম্ভবহলো। এর ফলে তারা সেখানে এমন সব নক্ষত্রের খোঁজ পেয়েছেন যার জন্ম অ্যান্ড্রোমিডায় হয়নি। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অন্টারিও-র অধ্যাপক ও জ্যোতির্বিদ পলিন বার্বি বলেন, ‘ওই সব তারার আবর্তনের প্যাটার্ন থেকেই আসলেতাদের জন্ম কোন গ্যালাক্সিতে; সেই খোঁজটি পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অ্যান্ড্রোমিডার তারাগুলো এতো কাছাকাছি অবস্থান করছে যে, এদের প্রতিটি তারাকেই সনাক্ত করা বেশ সহজ।’ ‘এবং প্রান্তের কিছু তারা যাদের অরবিট দেখেইআপনি বুঝতে পারবেন যে, ওই তারাগুলো আসলে জন্ম থেকেই ওখানে ছিলো না।’ বলেছেন পলিন। জানা গেছে, আমাদের পৃথিবী থেকে ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের অ্যান্ড্রোমিডা আজও বাড়ছে! গবেষকরা আরো দেখেছেন, অ্যান্ড্রোমিডার কাছাকাছি এক ঝাঁক নক্ষত্র ক্রমশ ‘ট্রায়াঙ্গুলাম’ নামের গ্যালাক্সি থেকে সরে রাক্ষসী এক মায়ায়ই যেন ক্রমশ এগিয়ে আসছে অ্যান্ড্রোমিডার দিকেই। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ড. স্কট চ্যাপম্যানবলেন, ‘একসময় এই দুইটি গ্যালাক্সির একসঙ্গে মিশে যাওয়াটাও বিচিত্র কিছুই নয়। তিনি আরো বলেন, ‘একটি অদ্ভুত বিষয় হলো কোনো একটি গ্যালাক্সির জন্ম এবং মৃত্যু; প্রায় একই রকমেরই একটি প্রক্রিয়া।’ নিকোলাই জিনেডিন নামে অপর একজন গবেষক যিনি গ্যালাক্সি বিষয়ক এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন,তিনি এই পর্যবেক্ষণকে বলেছেন ‘নক্ষত্ররাজিরপ্রত্নতত্ত্ব যেন হালে বাতাস পেল’

 

তথ্য সুত্র …..জানা অজানার মহাবিশ্ব

You can leave a response, or trackback from your own site.