২২ বছর আগে স্টিফেন হকিং তার বিখ্যাত ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ গ্রন্থে পরোক্ষভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্বে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন…তার সর্বশেষ গ্রন্থ ‘দ্যা গ্রান্ড ডিজাইন’ এ এবার তিনি দাবি করছেন বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টির পেছনে কারো হাত নেই…বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাকে ১০ টি প্রশ্ন করা হয়েছিলো…টাইম ম্যাগাজিনের গত সংখ্যায় সেগুলো প্রকাশ করা হয়
প্রশ্ন-ঈশ্বরের অস্তিত্ব যদি না থাকে তবে কেন তাঁর অস্তিত্ব বিশ্বজনীন?
হকিং=আমি কখনো দাবি করিনি যে,ঈশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই…আমরা যে এ বিশ্বে রয়েছি তার কারন হলো ‘ঈশ্বর’…তবে আমি মনে করি না,এ বিশ্ব এমন একজন সৃষ্টি করেছে,যার সঙ্গে কেউ একজন ব্যক্তি ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করতে পারে…বরং আমি মনে করি,বিশ্বজগত্ সৃষ্টির নেপথ্য রয়েছে পদার্থের অন্তনির্হিত বৈশিষ্ট্য-যাকে আমরা ‘নৈর্ব্যত্তিক ঈশ্বর’ বলতে পারি
-এ বিশ্বব্রক্ষান্ডের কি শেষ আছে? যদি থাকে,তবে এর পরে কি আছে?
=বিশ্বব্রক্ষান্ডের বিভিন্ন পর্যবেক্ষন্ন নির্দেশ করে যে এ মহাবিশ্ব প্রসারিত হতে থাকবে অসীম হারে…এটি চিরতরে বাড়তে থাকবে এবং ক্রমে শূণ্য ও অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে থাকবে…এ বিশ্বব্রক্ষান্ডের কোনো শেষ নেই,যদিও এর শুরু ছিল একটি ‘মহাবিস্ফোরণ’ থেকে
-আপনি কি মনে করেন,মহাবিশ্বের গভীরে কোথাও আবাস গেড়ে মানবসভ্যতা আরো অনেক দিন টিকে থাকতে পারবে?
=আমি মনে করি,সৌরজগতে অন্যান্য জায়গায় উপনিবেশ গড়ে টিকে থাকার বেশ ভালো সুযোগ আছে আমাদের…যদিও পৃথিবীর মতো আবাসযোগ্য এত উপযুক্ত স্থান সৌরজগতের আর কোথাও নেই…সে কারনে এটি ঠিক পরিস্কার করে বলা সম্ভব নয় যে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেলে আমরা কিভাবে টিকে থাকবো…আমাদের অস্তিত্ব সুদূরপ্রসারী সময়ের জন্য টিকিয়ে রাখতে হলে অন্য নক্ষত্রে পাড়ি জমাতে হবেই…তা হলে একমাত্র আশা করতে পারি,অনাদিকালের তরে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারব