হিগস বোসন কণার অস্তিত্বের সম্ভাবনা প্রবল । | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

হিগস বোসন কণার অস্তিত্বের সম্ভাবনা প্রবল ।

Print this post

মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু যে কণার মাধ্যমে ‘ভর’ লাভ করেছে বলে ধারণা করা হয়

সেই হিগস বোসন কণার অস্তিত্বের ‘ইঙ্গিত’ পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভার কাছে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সিইআরএন)

পদার্থবিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা চালানো বিজ্ঞানীরা এ দাবি করলেও এর পক্ষে তারা

কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

 

জেনেভায় লার্জ হাড্রন কোলাইডারে (এলএইচসি) মঙ্গলবার এএলটিএএস ও সিএমএস নামের

দুটি পরীক্ষায় হিগস বোসন কণার অস্তিত্বের ‘ইঙ্গিত’ পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন

বিজ্ঞানীরা।

 

সিএমএস পরীক্ষা দলের জ্যেষ্ঠ পদার্থবিদ অলিভার বুখমুলার বলেন,

“দুটি পরীক্ষাই একই দিকে ইঙ্গিত করছে।”

 

এটিএলএএস পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞানী ফ্যাবিওলা গিয়ানোত্তি বলেন,

“এ পরীক্ষায় আমার যা দেখেছি তাতে হিগস বোসন কণার অস্তিত্বের সম্ভাবনাই প্রবল।”

 

তবে এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না উল্লেখ করে এ বিজ্ঞানী বলেন,

“আরো তথ্য ও গবেষণা প্রয়োজন। আগামী কয়েকটা মাস হবে খুবই উত্তেজনার।”

“জানি না শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়।”

 

এই হিগস কণার অস্তিত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তা শতাব্দির সেরা ঘটনা হবে বলে

মন্তব্য করেন ব্রিটেনের লিভারপুল ইউনিভার্সিটির কণা পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক টেমিস বোকক।

তিনি বলেন, ” এর মধ্য দিয়ে পদার্থবিদরা এ মহাবিশ্বের হয়ে ওঠা নিয়ে এমন একটি বিষয়

উন্মুক্ত করবেন যার প্রভাব আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনুভব করি।”

 

হিগস বোসন অদৃশ্য হিগস ক্ষেত্রের কণা। মহা বিস্ফোরণের পর হিগস ক্ষেত্র থেকেই পরবর্তী

বস্তুগত বিশ্ব বিকাশ লাভ করেছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। মহাবিশ্বের সবকিছু

হিগস বোসনের মাধ্যমেই ‘ভর’ লাভ করেছে।

 

এভাবে তত্ত্বানুযায়ী প্রাথমিক কণাগুলো থেকে গ্রহ, নক্ষত্র, প্রাণ পর্যন্ত সবকিছু সৃষ্টির পেছনেই

আছে হিগস বোসন কণা। তাই গণমাধ্যমের কর্মীরা এটিকে ‘ঈশ্বর কণা’ বলতে শুরু করে।

কিন্তু বিজ্ঞানের কোনো তত্ত্বের সাথে ঈশ্বরকে জড়াতে চান না বিজ্ঞানীরা।

হিগস বোসন’ কণাকে ‘ঈশ্বর কণা’ বলার বিরোধিতা করেছেন পদার্থ বিজ্ঞানীরা।

তারা অভিযোগ করেছেন ‘ঈশ্বর কণা’ নামটি বিজ্ঞানীদের দেওয়া নয়, গণমাধ্যমের দেওয়া।

কানাডার বিজ্ঞানী পলিন গ্যাগনন বলেন, “আমি ‘ঈশ্বর কণা’ শব্দবন্ধটিকে ঘৃণা করি।”

“হিগসকে কোনো ধর্মীয় অর্থে ব্যবহার করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয় নি।

এটাকে ওই নামে ডাকা সত্যিই অদ্ভুত,” বলেন তিনি।

জার্মান বিজ্ঞানী অলিভার বাখমুলার বলেন,

“হিগস বোসনকে ‘ঈশ্বর কণা’ বলা সঠিক নয়, মহাবিশ্বে হিগসের যে ভূমিকার কথা আমরা

ভাবি তার সাথে এটা ঠিক যায় না। আসলে ঈশ্বরের সাথে করার মতো কোনো কাজ এর নেই।”

 

মহা বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বের শুরুতে যে কণাটি প্রধান ভূমিকা রেখেছে বলে

বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই হিগস বোসন এর নাম রাখা হয়েছে,

বৃটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস এর নামের শেষাংশ ‘হিগস’

ও বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম থেকে নেয়া ‘বোসন’ মিলিয়ে।

-তথ্য সূত্র, বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।

You can leave a response, or trackback from your own site.