আগেই বলা হয়েছে সকাল বা রাত বলে কোন কথা হয় না আইএসএস-এ।আইএসএস-এ এতবার ‘সূর্যাস্ত’ ও ‘সূর্যোদয়’ হয় যে সময় মাপার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। যার নাম কোঅর্ডিনেট ইউনিভার্সাল টাইম। এটা ধরেই ঘুমানোর কাজ চালিয়ে যান নভোচারীরা।একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে নেন সবাই। শূন্যে ভেসে বেশ আয়েশ করেই ঘুমান। যাঁরা কিছুটা দীর্ঘ সময়ের জন্য মিশনে যান তাঁদের জন্য বরাদ্দ হয় ‘ক্রু কোয়ার্টার’।
স্বল্পমেয়াদি মিশনে যাঁরা যান, তাঁরা স্টেশনের খলি দেয়াল খুঁজে বের করে স্লিপিং ব্যাগ রেখে ওটার ভেতরেই শুয়ে পড়েন।
এর মাঝে সুসংবাদটি হচ্ছে_মহাকাশে নাক ডাকার কোনো আশংকাই নেই। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় মহাকাশে অনেকে চাইলেও নাক ডাকতে পারেন না!
জমে উঠে উৎসবের আমেজ ও
প্রিয়জনদের ছেড়ে দূর মহাকাশে ক্রিসমাস পার্টি জমিয়ে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি করেন না মহাকাশচারীরা। ১৯৬৮ সালে মহাকাশে প্রথম বড়দিন পালন করেছিলেন অ্যাপোলো ৮-এর ক্রু, কমান্ডার ফ্রাঙ্ক বোম্যান, জিম লভেল এবং উইলিয়াম অ্যানডারস। তখন ক্রিসমাস ইভ ব্রডকাস্ট সুবাদে তাদের উৎসবে শামিল হয় বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি দর্শক।
১৯৭৩ সালে স্কাইল্যাব ৪-এর ক্রুরা করেছিলেন মজার কাণ্ড। ক্রিসমাসে ‘ক্রিসমাস ট্রি’ না থাকলে কি আর জমে? হাতের কাছে খাবারের প্যাকেট ছাড়া আর কিচ্ছু নেই। মহাউৎসাহে তা দিয়েই তৈরি হলো ক্রিসমাস ট্রি। কাটা হলো কেক। আত্দীয়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও বাদ পড়ল না। আর স্পেস স্টেশনে সবচেয়ে প্রথম বড়দিন পালিত হয় ২০০০ সালে। মহাকাশচারী বিল শেফার্ড ও তাঁর দলের সবার দিনটি কেটে যায় গিফট খুলে আর আত্দীয়দের সঙ্গে কথা বলে। আর এখন মহাকাশে বড়দিন পালন ডাল-ভাত হয়ে গেছে। এখন টার্কি আর কেক কেটে দিনটি পালন করেন আইএসএস বাসিন্দারা।
এই হল মহাকাশের নভোচারীদের মহাকাশের জীবন-যাপনের কাহিনী।সত্যিই এক আ্যাডভেন্জার পূর্ণ জীবন সেখানে।আবার এর সাথে রয়েছে জীবনের চরম অনিশ্চয়তাও।তবু তারা ভালোবাসে এই কাজকে আর ভেসে বেড়াতে মহাশূন্যে।
Post by —“চতুর্থ মাত্রা”