আকাশ থেকে নামিবিয়ায় যে রহস্যময় বলটি পড়েছিলো তা শনাক্ত করতে পেরেছেন গবেষকরা।
তারা জানিয়েছেন, রহস্যময় এ ধাতব বলটি মনুষ্যবিহীন রকেটের জ্বালানি ট্যাংক। এ বলটির
উৎস জানতে নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির গবেষকরদের ডাকা হয়েছিলো।
আকাশ থেকে বলটি মাটিতে পড়ার পর এ বল ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছিলো। এ ঘটনাকে অনেকেই
ভিনগ্রহের প্রাণীর কারসাজি বলেও মনে করছিলেন। এ বলটিকে কেউ বলছিলেন
লার্জ হার্ডন কোলাইডার থেকে ছিটকে পড়া কোনো বস্তু, আবার অনেকেই হ্যারি পটার সিনেমার
কোয়াফলও বলছিলেন। নামিবিয়ার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এমন বল পড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে
পড়েছিলেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করেছিলেন।
১.১ মিটার পরিধির ফাঁপা গোলকটি নামিবিয়ার রাজধানী থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরের একটি
গ্রামে পড়েছিলো ।
নামিবিয়ার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ পল লুডিক বলেন, বলটি মাটিতে পড়ার আগে স্থানীয়রা
কয়েকবার বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। ৩৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের এ বলটির পৃষ্ঠ এবড়োথেবড়ো
এবং একসঙ্গে দুটি অংশ জোড়া লাগানো। তবে, এ বলটি চেনা ধাতুর তৈরি এবং ওজন ৬ কেজি।
এ বলটি পড়ার পর ৩৩ সেন্টিমিটার গভীর এবং ৩.৮ মিটার প্রশস্ত গর্ত তৈরি হয় তবে এটি
পাওয়া গেছে গর্ত থেকে ১৮ মিটার দূরে।
গবেষকরা সব ধরনের অনুমান ভুল প্রমাণ করে জানিয়েছেন, এটা নেহাৎই একটি
হাইড্রাজেন ট্যাংক যা মহাকাশে মনুষ্যবিহীন রকেটে ব্যবহৃত হয়।
– খবর ডেইলি মেইল-এর।
– তথ্য সূত্র, বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।