“পুদিনা পাতা” | জানুন পুদিনাপাতার ওষধি গুণাবলি - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

“পুদিনা পাতা” | জানুন পুদিনাপাতার ওষধি গুণাবলি

Print this post

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে আবারও আজকের পোষ্টের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা শুরু করলাম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে খুবই ভাল আছেন। ভাল থাকুন ও ভাল রাখুন আপনার পাশের মানুষটিকে। ভাল থাকার জন্য দরকার ভাল খাবার। এতে স্বাস্থ্য থাকে ভাল ও মন থাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন। চলুন মূল পোষ্টে…

আমরা সবাই কম-বেশি “পুদিনা পাতা” সম্পর্কে জানি, অনেক জানি না। তবে বেশিরভাগই মোটামুটি জানেন। তবেই পুদিনা পাতার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কিন্তু মজার বেশি হল এটা সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানলেও অনেকেই এটা দেখেন নি। আজ আমি আপনাদের জানাব এই ওষধি বৃক্ষ সম্পর্কে। চলুন আজ আমরা এই ওষধি গাছ সম্পর্কে জানব।

undefined

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :

  • ১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
  • ২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
  • ৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
  • ৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
  • ৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
  • ৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
  • ৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছেঃ http://www.amardeshonline.com/

ভাল থাকুন ও ভাল রাখুন আপনার পাশের মানুষটিকে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ……..

You can leave a response, or trackback from your own site.