অরোরা বা মেরুজ্যোতির নাম আমরা সবাই শুনেছি, কিন্তু তা সৃষ্টি হওয়ার রহস্য হয়তো আমাদের মাঝে অনেকেরই জানা নেই।
অরোরা হলো মেরু অঞ্চলের আকাশে দৃশ্যমান অত্যন্ত মনোরম এবং বাহারী আলোকছটা যাকে এক সময় অতিপ্রাকৃতিক বলে বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে তা নিতান্তই প্রাকৃতিক ঘটনা বলে প্রমাণিত।
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, বায়ুমন্ডলের থার্মোস্ফিয়ারে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে আসা চার্জিত কণিকাসমূহের (প্রধানত ইলেক্ট্রন, কিছু ক্ষেত্রে প্রোটন) সংঘর্ষের ফলেই অরোরা তৈরী হয়।
সংঘর্ষের কারণে পরমাণু বা অণুসমূহ কিছু শক্তি লাভ করে চার্জিত কণিকাসমূহের কাছ থেকে। এই শক্তি তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি হিসেবে সঞ্চিত হয়, এবং এর ফলশ্রুতিতে ইলেক্ট্রনের গতিশক্তি হ্রাস পায়।
একটি অণু বা পরমাণুর মধ্যে শক্তি সংরক্ষণের মাধ্যমে “উদ্দীপক” পরমাণু সৃষ্টি হয়। উদ্দীপ্ত অবস্থা থেকে সাধারণ অবস্থায় ফিরে যেতে হলে পরমাণুটি একটি ফোটন কণিকার আকারে শক্তি ছেড়ে দেয়, যার কারণে আলো দৃশ্যমান হয়। এসব ফোটন কণিকাই অরোরা সৃষ্টি হওয়ার পেছনের মূল রহস্য।
যেহেতু ইলেক্ট্রন সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বরাবর পরিভ্রমন করে, তাই মেরু অঞ্চলেই অরোরা বেশী দৃষ্টিগোচর হয়।
উত্তর অক্ষাংশে অরোরা সুমেরুজ্যোতি বা সুমেরুপ্রভা (Aurora Burealis/The Northern Light) নামে পরিচিত, এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে একে বলা হয় Aurora Australis (or The Southern Light).
-লিখেছেন, গ্যালাক্টিকা ।