অদ্ভুত শক্তিধর মানুষ - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

অদ্ভুত শক্তিধর মানুষ

Print this post

উরি গেলার। এক বিষ্ময়করপুরুষের নাম। বর্তমান বিশ্বের সব চাইতে খ্যাতিমান সাইকিক। এক মূর্তিমান প্রহেলিকা। তার অদ্ভুত শক্তির কথা সাড়া জাগিয়েছে বিশ্বের সর্বত্র। হ্যা, না ছুয়েই গেলার ষ্টীলের চামচ বাকিয়ে ফেলতে পারেন কিম্বা ঘুরিয়ে দিতে পারেন ঘড়ির কাটা। দূর থেকেই যে কারো আংগুলের আংটি দু টুকরো করে ফেলতে পারেন তিনি। আরো আছে: ইচ্ছা শক্তিরবলে তিনি থার্মোমিটারের পারদ স্তম্ভকে দ্রুত উঠানামা করাতে পারেন। পারেন চলন্ত লিফট এবঙ কেবল কার থামিয়ে দিতে। এছাড়া উরিগেলারের রয়েছে অত্যাশ্চার্য টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা-মানুষের মনের কথা এবং মনে করা সংখ্যা এবং কার কাছে কতো টাকা পয়শা আছে তা বলে দিতে পারতেন। একেবারে সঠিকভাবে। মাত্র ৬ বছর বয়সেই গেলার তার মাঝে এই অদ্ভুত শক্তির অস্তিত্ব টের পান, বাবার দেয়া উপহার একটি ঘড়ির কাটাকে আধঘন্টা এগিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। এরপর মাত্র ৯ বছর বয়সেই ঘটল দৃষ্টি শক্তির বলে চামচ বাকিয়ে দেয়ার পিলেচমকানো ঘটনা। এ সময় গেলার তার মায়েরে মনের সকল ভাব এবং কথা বুঝতে পারতেন এবং মা মুখ খোলার আগেই হুবুহু তা বলে দিয়ে মাকে অবাক করে দিতেন। আরো অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে যে, পরীক্ষার জন্য তাকে কোনো প্রস্তুতি নিতে হতো না। গেলার এর কথা অনুযায়ী পরীক্ষার হলে আশেপাশে বসা যে কোন ছাত্রের মাথার পিছন দিকে তাকিয়ে থাকলেই নাকি তিনি সেই ছাত্রের সব বিদ্যা দেখতে পেতেন এবং তা থেকেই কপি করতেন।
এরপর উরি গেলারকে অদ্ভুত ক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হয়। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে গ্রেনেডবিষ্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ১৯৬৮ সালে সেনাবাহিনী ছেড়ে দিয়ে গেলার তার বিচিত্র ক্ষমতা প্রদর্শেনর জন্য স্টেজ শোতে নেমে পড়েন। সম্মোহিত অবস্থায় তিনি আশ্চর্য দক্ষতার জটিল রোগ নির্ণয় করতে পারেন।
তার এই অদ্ভুত ক্ষমতা চিকিতসকদের হতবুদ্ধি করে দেয়।
১৯১০ সালের ৯ই অক্টোবর সানডে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এই খবরটি সবাইকে চমকে দিয়েছিল। মাত্র ৭ বছর বয়সে তার মধ্যে এই আশ্চর্য শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। রাতে ঘুমুতে যা ওয়ার আগে মাথার নিচে কোন বই রেখে দিলে সেই বইয়ের বিদ্যা আপনা থেকেই তার মধ্যে আত্মস্থ্য হয়ে যেত।
এভাই শুরু হয় কেইসির রহস্যময়ী ডাক্তারী জীবন। মিরাকল কিউর এর কারণে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠলেন তিনি। রোগ নির্ণয়ে দক্ষতা এবঙ প্রেস্ক্রিপশান দেখে মনে হতো চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে, যদি ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদিক্ষার দিক দিয়ে স্কুলের নবম শ্রেণী ও ডিঙ্গাননি তিনি। তবে খ্যাতির সাথেসাথে তার জীবনের অর্থেরসমাগম ঘটেনি কারন তিনি তার জীবনে ডাক্তারীর জন্য কোন ফী নিতেন না।
নিজ বাড়িতে আরাম কেদারায় শুয়ে সম্মোহিত অবস্থায় দূর দুরান্তের লোকের ও রোগ নির্ণয় করতেপারতেন। সম্পুর্ন অপরিচিত ও অদেখা- অচেনারোগীর ও স্বাস্ত্যহানীরকারন খুজে বের করতে পারতেন। এমনকি প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যার্থ ও হতাশ হয়েছেন এমন অনেক রোগীকে এডগার কেইসি তারচিকিৎসা করে সারিয়ে তুলেছিলেন।
চিকিৎসক-জীবনে কেইসি খুব কমই বিফল হয়েছেন।
কেইসি ভবিষদ্বক্তা ও ছিলেন।। তার বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ও ফলে গিয়েছিল।
এডগার কেইসি অবশ্য একমাত্র নন— মেডিকেল সায়েন্স সম্পর্কে একরত্তি বিদ্যা পেটে নাথাকা সত্বে ও এমনি আরো কয়েকজন ডাক্তারী করছেন। ডাক্তার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
১৭৮৭ সালে মারকুইস ডি পুইসেগার ঘোষনা দিয়েছিলেন যে, তিনি যখন ভিক্টর নামের এক মেষপালককে সম্মোহিত করতেন তখন সে অত্যন্ত সঠিকভাবে মানুষের অসুস্থ্যতার কারন নির্ণয় করতে পারতো।
১৯৬০ সালে ব্রাজিলের অতি সাধারন এক খনি শ্রমিক আরিগো হঠাৎ করেইখুন্তি-শাবল ফেলে হাতে তুলে নিলেন ছুরি। কি করে যেন শল্যবিদ্যার অনেক কিছু রাতারাতি রপ্ত করে পরিনত হলেন দক্ষ সার্জনে। মজার এবঙবিষ্ময়ের হচ্ছে এই যে, মরচে ধরা সাধারন একটি ছুরি দিয়েই বেশিরভাগ অপারেশন করতেন আরিগো। ছূরি মুছে সাফ করতেন নিজের শার্টে। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই ইনফেকশন হয়নি, এন্টিবায়েটিক ছাড়াই সেরে গেছে রোগীদের ক্ষত।১৯৭১ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আরিগো প্রতিদিন গড়ে ১৫০০ রোগীর চিকিৎসা করেছেন, একবারের জন্য ও ব্যার্থতার মুখ দেখেননি।
****কিন্তু কথা হচ্ছে উরি গেলার, এডগার কেইসি কিম্বা আরিগোর রহস্যময় অদ্ভুত ক্ষমতার উৎস কোথায়?
সে সন্ধান কিন্তু কেউ পায়নি। এমন কি তারা ও নিজেরাও জানেনা তারা কি করে অসম্ববকে সম্ভব করতেন।

You can leave a response, or trackback from your own site.