1.কয়েকটি বিষাক্ত গাছ ।:-)২
>* হেমলক — এগাছের রস পান করলে মুহূর্তে মৃত্যু ঘটবে । উল্লেখ্য , এই হেমলক গাছের রস পান করিয়েই মহান দার্শনিক সক্রেটিসকে হত্যা করা হয়েছিল ।
>*ডোভিলা — আরও একটি বিষাক্ত গাছ । এগাছের ছোঁয়া লাগলেও শরীরে সাথে সাথে ঘা হয়ে যায় ।
>*সিপগোল — এগাছের ডালপালা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত বিষে ভরা । একটু চিবোলেই আর রক্ষে নেই ।মৃত্যু পরিণাম । এরা ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়
>*ক্যাস্টর বিন প্লান্ট (রাইমিনস কমিউনিস ) বীজ থেকে ক্যাস্টার অয়েল । বিষের রকম : রাইমিন খেলে ক্ষতি নেই । ফেটে বা ছেড়ে গেলে যদি রক্তে মেশে তাহলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যু । এক মিলিগ্রামের একশো ভাগ একটা ২০০ পাউন্ডের লোককে মেরে ফেলতে পারে । লক্ষণ : ক্ষুধামন্দা ,পেট ব্যাথা , প্রলাপ বকা ,অচৈতন্য হওয়া এবং মৃত্যু । জন্ম হাওয়াই দক্ষিণ আমেরিকা ।
2.উদ্ভিদের মধ্যে সাগুয়ারা ক্যাকটাস বৃহত্তম বলে বিবেচিত । উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা একে কারনেজিইয়া জায়গান্টিয়া নামে জানেন । যুক্তরাষ্টের অন্তর্গত আরিজোনায় এবং ক্যালিফোর্নিয়া , নিউ মেক্সিকো , আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি প্রভৃত অঞ্চলে এদের বেশি দেখা যায় । এদের রং গাঁড় সবুজ । এরা ৫০ থেকে ৫৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় । নিউ মেক্সিকো রাজ্যে ১৯৫০ সালে প্রায় ৫৪ ফুট দীর্ঘ একটা সাগুয়ারা ক্যাকটাসের দেখা পাওয়া গিয়েছিল !
3.মোঘল বাদশা আকবরের সময় হেরেমে সুন্দরী নারীর সংখ্যা ছিল ৫০০০ জন এবং সুদর্শন বালকের সংখ্যা ছিল ১০০০ জন । এছাড়া হাতি ছিল ১২০০ টি । বাদশা আকবর নিয়মিত দাবা খেলতেন । কিন্তু সেও ছিল একেবারে বাদশাহী দাবা খেলা যাকে বলে ! তাঁর দাবার গুটি ছিল সুন্দরী নর্তকীরা । প্রমোদভবনের সামনের উদ্যানে ছিল তাঁর মস্ত বড় দাবা খেলার ছক । বাদশা উঁচু মঞ্চে বসে হাতের কাঠির ইশারায় দাবার খুঁটি নাড়তেন । মেয়েরা বাদশার আঙ্গুলের ইশারা মতো ঘর পার হয়ে যেত । এমনি করে চলত তাঁর মজার দাবা খেলা । দাবা খেলার অপর নাম – চতুরঙ্গ ।
4.পৃথিবীর বৃহত্তম কুমড়োটি জন্মেছিল ১৮৪৭ সালে সাফো নামক স্থানে । উত্পাদকের নাম লিয়েথিস । শাক-সবজী উত্পাদন তার পেশা নয় , শখ । শখ করে বাড়ির পাশের এক ফালি জায়গায় সবজির চাষ করতেন । এটা তাঁর নেশায় পরিণত হয় । জৈব সার প্রয়োগ করে তিনি ৮৮ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি কুমড়ো উত্পাদন করেছিলেন । মি. লিয়েথিসের পরিশ্রম ,নিষ্ঠা ও আগ্রহের ফসল ঐ কুমড়োটি বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করে তাঁল স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছিল ।
5.ট্রাম চলাচলে রাশিয়া শেষ্ঠত্বের দাবিদার । ১৯৯০ সালে হিসেব করে দেখা গেছে , রাশিয়ার লেনিনগ্রাদের ট্রাম রাস্তাই বিশ্বের দীর্ঘতম বলে দাবি করতে পারে । সেখানে ৩২০৮ কিঃমিঃ জুড়ে ট্রাম লাইন পাতা আছে । আর ট্রাম পথের সংখ্যা ৫৬ টি ।
6.ঘোড়া কিন্তু চোখের মণি ঘুরাতে পারে না । ডাইনে বাঁয়ে তাকানোর প্রয়োজন হলে ওদের গোটে মাথাটাকেই ঘুরিয়ে নিতে হয় । ঘোড়ারা দাঁড়িয়ে ঘুমায়
7.সম্রাট মিতরিদাতিস ের (১৩২-৬৩ খ্রিস্টপূর ্বাব্দ) ভয় ছিলº02º, ºকেউ তাকে বিষ
প্রয়োগ করে হত্যা করবে।º06º ºসে রকম কিছুঘটার আগেই অল্প অল্প করে বিষ সেবনকরে
নিজেকে বিষ প্রতিরোধক হিসেবে গড়ে তোলেন সম্রাট।º17º ºপরে যখন আত্দহত্যার জন্য
বিষ খেলেন, তখন আর ওটা কোনো কাজই করলো না!º18º ºদিব্যি বিষ হজম করে ফেললেন রাজা
8.রোম সম্রাট ক্যালিগোলার প্রিয় ঘোড়ার নাম ছিল ইনসিটেটাস । তিনি তাঁর প্রিয় ঘোড়াকে পদোন্নতি দিয়ে প্রথম শ্রণীর কনসালের পদে নিযুক্ত করেন । ফলে ঘোড়ার মর্যাদাও বেড়ে যায় । তখন থেকে ঘোডাটির মদ খাওয়ার জন্য তৈরি করা হয় সোনার পানপাত্র এবং ভুষি খাবার গামলাটি তৈরি হয় আইভরি দিয়ে
5.সাধারণত গাছের গুঁড়ির চারদিকে প্রতিবছর একটি করে স্তর পড় । গাছের গুঁড়ি করাত দিয়ে আড়াআড়িভাবে কেটে গুঁড়ির গোলাকার স্তরগুলো পরপর গুণে গেলেই সেই গাছের বয়স কর তা বুঝতে পারা যায় ।
6.একটি পুরুষ শামুক জীবনে একবারই মাত্র স্ত্রী শামুকের সাথে মিলিত হয় । শামুকের এই মিলনকালের স্থায়িত্ব বারো ঘন্টারও অধিক হয় ।
7.আমরা কারো সহ্য ক্ষমতা বুঝাতে বলি -‘তার গায়ে গন্ডারের চামড়া রয়েছে’ । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রাণিজগতের মধ্যে জলহস্তীর চামড়া সবচেয়ে পুরু । প্রায় দেড় ইঞ্চি ! এরপরেই গন্ডারের চামড়া । প্রায় ১ ইঞ্চি পুরু
8.স্টার ফিশ নামে মাছ হলেও আসলে এরা কোন মাছ না । এরা এক জাতের সামুদ্রিক প্রাণী । সে সব প্রাণী সবচেয়ে বেশি বংশবিস্তার করতে সক্ষম স্টার ফিশ তাদের মধ্যে একটি । বিজ্ঞানীরা বলেন । একটি স্টার ফিশ বছরে ২০ কোটি ডিম পাড়ে !!!
9.আমরা হাসপাতাল বলতে চিকিত্সা কেন্দ্রকে বুঝি । কিন্তু মধ্যযুগে হাসপাতাল (Hospital ) শব্দটির ভিন্ন অর্থ ছিল । এই হাসপাতাল বলতে বুঝাত ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্রামাগার । পরবর্তীকালে এই শব্দের মানে একটু পরিবর্তন করা হয় । তখন এর অর্থ দাঁড়ায় অনাথ , বৃদ্ধ এবং অভুক্তদের অশ্রয়কেন্দ্র । অর্থাত্ অনাথশ্রম । অধুনিককালে এর অর্থ দাঁড়িয়েছে চিকিত্সা কেন্দ্র হসপিটাল ।
10.একজন মানুষের শরীরে যতগুলো শিরা আছে তার সব যদি একটার সাথে আরেকটা জোড়া দেয়া যেত তাহলে সারা পৃথিবীকে প্রায় ৩ বার বেড় দেয়া যেত ! এই শিরাগুলো একটার সাথে আরেকটা জোড়া দিলে লম্বা হয় প্রায় ১১২০০০ কিলোমিটার ।
11.ভারতের পাকশী উপজাতিদের ( Pachsi tribe ) সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ একেবারেই সহজ ব্যাপার । এদের সমাজে কোন স্বামি যদি স্ত্রীকে তালাক দাতে চায় তাহলে স্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে তাকে দেখিয়ে একটি বাঁশের কঞ্চি বা এইজাতীয় কিছু ২ হাত দিয়ে ভেঙে ফেললেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেল ।