“‘ বিলিভ ইট ওর নট ।’ কথা সত্য !”-পর্ব 4 - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

“‘ বিলিভ ইট ওর নট ।’ কথা সত্য !”-পর্ব 4

Print this post

1.এই বিচিত্র জাতের পোকাটিকে অনেকেই চেনে । চৈত্র বৈশাখ মাসে সন্ধে নামার সাথে সাথে একজাতের পোকা আশেপাশের গাছের ডালে তীব্র স্বরে ডাকতে শুরু করে । একটানা ঝিঝি ডাক । তাই ওদের নাম দেয়া হয়েছে ঝিঝি পোকা । দেখতে পঙ্গপালের মত । তবে আকারে বড় ।এদের প্রকৃত নাম সিকাডা (cicada) । এদের জীবন বড় বিচিত্র ।এমন বিষ্ময়কর জীবন প্রাণীজগতে আর নেই । মা সিকাডা ডিম পাড়ে গাছের ডালে । তারপর ডিমফুটে যখন বাচ্চা বের হয় তখন বাচ্চা মূল গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায় । যেখানে পড়ে সেখানেই গর্ত খুঁড়ে ঢুকে যায় । তারপর থেকেই শুরু হয় ম্যারাথন ঘুম । একটানা ১৭ বছর কেটে যায় ঘুমে ! ঠিক ১৭ বছর পর কোনো এক রহস্যময় কারণে মাটি ফেটে বেরিয়ে আসে আলোর পৃথিবীতে । তখন তাদের পা এবং পালক গজায় , শরীর শক্ত হয় । শুরু হয় ২য় পর্যায়ের জীবন । কিছু এই ২য় জীবন খুবই ছোট হয় । ঘুম ভাঙার পর মাত্র ৫ সপ্তাহ বাঁচে । এই ৫ সপ্তাহ প্রতিরাত্রে ঝিঝি গান গেয়ে সঙ্গিনীকে ডেকে ফেরে । সিকাডাদের মধ্যে শুধু পুরুষরাই ডাকতে পারে মেয়েরা পারেনা । মেয়ে সিকাডার সাথে মিলিত হওয়ার পর ডিম ফুটে আবার বাচ্চা হয় সিকাডাদের । মাস পূর্ণ হলে মারা যায় বড় সিকাডারা । বাচ্চা তখন মাটির নিচে ঘুমে অচেতন । বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জাতের সিকাডা পোকার সন্ধান পেয়েছেন ।

 

2.দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মালয় এবং জাভা দ্বীপ এই ভয়ানক বিষাক্ত গাছ জন্মায় । বাংলায় বলে চাদলা গাছ । গাছ গুলো এতোই বিষাক্ত যে , এ গাছ যেখানে জন্মাবে তার আশেপাশে দু চার মাইলেয় ভিতর কোন বড় গাছ তো দূরের কথা ঘাস পর্যন্ত জন্মাতে পারে না । এদের বিষের জ্বালায় । কোন জীবজন্তু বা মানুষ পর্যন্ত এদের ধারে কাছে যেতে পারে না । এদের বিষাক্ত বাতাসে গাছপালা জীবজন্তু সবই মারা যায় বা অসুস্থ হয়ে পড়ে । তাই এ গাছ যেখানে জন্মায় তার আশেপাশে থাকে শুধু ধু ধু মাঠ । গাছ গুলো আড়াই ফুট লম্বা হয় ।

 

3.আমরা সবাই facebook সম্পর্কে অনেক কিছু জানি, তারপরেও কয়েকটি তথ্য রয়েছে এখানে,

– facebook যাত্রা করে ২০০৪ সালে এবং এর বর্তমান গ্রাহক সংখা ৮০০ মিলিয়ন,
– facebook এর মালিক Mark Zuckerberg এর প্রতিস্থাথা যার ২৪% Share আছে
– January 2009 Compete.com এর মতে facebook হচ্ছে বহুল ব্যবহারিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেখানে দৃতীয় অবস্থানে আছে myspace.
– facebooke এর বর্তমান বাজার দর হচ্ছে $৪১ বিলিয়ন. যা আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম website কোম্পানি.
– ১৫ টি দেশে এদের ২০০০ কর্মী আছে
– facebooker বৃত্তম উপার্জন আসে বিজ্ঞাপন থেকে যেখানে Microsoft এসব বিজ্ঞাপন প্রদান করে
– প্রতিদিন facebook -এ ২ বিলিয়ন বার “Like” button প্রেস করা হয়, ২৫০ মিলিয়ন ছবি upload করা হয়,
– ২০১১-এ 500,000,০০০ জন মানুষ facebook ব্যবহার করে
– পৃথিবীর প্রতি ১৩ জনের মধ্যে ১ জন facebook ব্যবহার করে

 

4.উদ্ভিদের মধ্যে সাগুয়ারা ক্যাকটাস বৃহত্তম বলে বিবেচিত । উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা একে কারনেজিইয়া জায়গান্টিয়া নামে জানেন । যুক্তরাষ্টের অন্তর্গত আরিজোনায় এবং ক্যালিফোর্নিয়া , নিউ মেক্সিকো , আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি প্রভৃত অঞ্চলে এদের বেশি দেখা যায় । এদের রং গাঁড় সবুজ । এরা ৫০ থেকে ৫৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় । নিউ মেক্সিকো রাজ্যে ১৯৫০ সালে প্রায় ৫৪ ফুট দীর্ঘ একটা সাগুয়ারা ক্যাকটাসের দেখা পাওয়া গিয়েছিল !

 

লিখেছেন—-“‘ বিলিভ ইট ওর নট ।’ কথা সত্য !”

You can leave a response, or trackback from your own site.