1.মিসরের রানী ক্লিও পেট্রা নন । তিনি ছিলেন সিরিয়ার রানী ষষ্ঠ ক্লিওপেট্রা । তার জীবনেও ঘটে গিয়েছিল অনেক বিচিত্র ঘটনা । তিনি ১৫০ থেকে ১২৮ খ্রিষ্টপূর্ব সিরিয়ার রানী ছিলেন । তবে সবচেয়ে মজার ঘটনা হল -তিনি সিরিয়ার পরপর ৩ জন রাজাই রাণী ছিলেন !! তাঁর প্রথম স্বামী উত্তরাধিকার সূত্র সিরিয়ার রাজা হয়েছিলেন । তারপর স্বামী মারা গেলে পরবর্তীকালে আরেক লোক নতুন রাজা হন । নতুন রাজাও ক্লাওপেট্রাকেই বিয়ে করেন । পরে ক্লিওপেট্রার এই ২য় স্বামীও মারা যান । রাজা হন আরেক ব্যক্তি । কিন্তু এই রাজাও রানীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকেই বিয়ে করেন । ক্লিওপেট্রার রানীর পদ বহাল থাকে । এমনি করে তিনি একনাগাড়ে ৩ রাজার রানী ছিলেন ।
2.বিশ্বের সবদেশেই বউ হত্যা একটা বড় সমস্যা । স্কটল্যান্টের কার্লটন টাওয়ারের অধিবাসী স্যার জন ক্যাথকার্ট নামক এক নৃশংস যুবক বউহত্যার বিশ্বরের্ক সৃষ্টি করেছিল ! সে ক্যাসলৌপ নামক পর্বতশৃঙ্গ থেকে একের পর এক ৭ পত্নীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে ! এবার বিয়ে করল ৮ম পত্নীকে । তার সাথেও মনের মিল হল না ।তাকেও হত্যার পরিকল্পনা করল । ব্যাস , তাকেও ভুলিয়ে ভালিয়ে সেই পাহাড়ে নিয়ে গেল । দীর্ঘ সময় ধরে চলল উভয়ের ধস্তাধ্বস্তি । শেষ পর্যন্ত বউ এর সাথে নিজেও পা হড়কে পড়ে গেল বহু নিচের সমুদ্রের জলে । সাথে সাথে মারা গিয়েছিল ।
3.দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর হুইটোটো উপজাতির (Huitoto tribe ) মেয়েরা হাঁসের অনুকরণে নিজেদের সাজাতে ভালবাসে । তারা হাঁসের পালক দিয়ে মোজার মতো এক ধরণের পোশাক তৈরি করে পরে । এতে তাদের পা দুটো দেখতে হাঁসের পায়ের মতই মনে হয় । এটা ওদের সমাজে চমত্কার পোশাক । ওদের সমাজে বিয়ে করতে হলে হাঁসের মত সাজতে হয় !
4.মাদাগাস্কার থেকে ৮০০ কিঃমিঃ পুবে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট একটি দ্বীপ , নাম মৌরিতিয়াস (Mauritiur) । আয়তনে মাত্র ১৮৬৫ বর্গ কিঃমিঃ । এই দ্বীপেই বাস করত ডোডো নামে একজাতের পাখি । দেখতে অনেকটা বড় মুরগির মত । কিন্তু উড়তে জানে না । এই পাখি গুলো একেবারেই বোকার হদ্দ । কেউ মারতে এলে যে দৌঁড়ে পালিয়ে আত্নরক্ষা করবে সে বুদ্ধিটাও ওদের মাথায় ছিল না ।ফলে যা হওয়ার তাই হয় । পর্তুগীজরা সর্বপ্রথম দ্বীপটি আবিষ্কার করে এবং তারাই প্রথম এখানে এসে এই বোকা পাখিগুরোর সাক্ষাত্ পায় । নাম দেয় ডোডো পাখি । পর্তুগীজ ভাষায় ডোডো শব্দের অর্থ বোকা (Stupid) । তারাই এখানে এসে মনের সুখে ডোডো পাখির মাংস খেতে শুরু করে । শুরু হয় বোকার বংশ নিপাতের পালা । ডোডোরা একেবারেই বিরল প্রজাতির পিখি । বলতে গেলে এই মৌরিতিয়াস ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও ডোডো পাখি পাওয়া যায় না । এখন তো এদের অস্তিত্ব একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।
5.*আট-নয় হাজার বছর আগে ফিলিস্তিনে বিচিত্র এক কায়দায় মৃতদের সম্মান দেখানো হতো। মৃতের দেহ কবর দেওয়া হতো তার কোনো আত্মীয়েরবাড়ির মেঝের নিচে। সেখানে অবশ্য পুরো দেহ থাকত না। মাথাটাকে পরিষ্কার করে সাজিয়ে রাখা হতো ঘরে।
*প্রাচীন মিসরে তরুণীরা দিনের শুরুতে মাথায় জমাট বাঁধা পশুর চর্বি দিয়ে রাখত। পরে সূর্যের তাপে গলে চুলে মিশে যেত এই চর্বি। ওটাই ছিল তাদের চুলের কন্ডিশনার।
*১৮৫৬ সালে মার্কিন সরকার একটি আইন পাস করে। এই আইন বলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানব বসতিবিহীন দ্বীপ নিজের বলে দাবি করতে পারবে মার্কিনিরা । তবে শর্ত হচ্ছে, সে দ্বীপে যথেষ্ট পরিমাণ পাখি ও পাখির বিষ্ঠা থাকতে হবে।
*১৮৫৭ সালে সারা ভারতবর্ষে সংঘটিত হয় সিপাহি বিদ্রোহ। প্রথম দিকে ইংরেজরা হারলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয় ভারতীয় সিপাহিরাই। ভারতবর্ষ প্রায় হাতছাড়া হতে যাওয়া ইংরেজরা ছিল বেজায় ক্ষুব্ধ। যুদ্ধের পর রক্তএবং অন্যান্য জঞ্জাল পরিষ্কার করার দায়িত্ব পড়ল ভারতীয়দের ওপর। যারা প্রথমদিকে অস্বীকার করল, তাদের সেই রক্ত ও জঞ্জাল খেতে বাধ্য করেছিল ইংরেজরা!
*হংকং এর আইন অনুসারে কোন মেয়েরস্বামী পরকীয়া করলে তাকে সে খুন করতে পারে। তবে খুনটা করতে হবে থালি হাতে। আর যে মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম করছিল, তাকে খুন করার জন্য যেকোন অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
6.পৃথিবীর সবচেয়ে গেমিং এ আসক্ত দক্ষিণ করিয়ার ছেলে মেয়েরা । হাই স্পিরিড ইন্টারনেট সুবিধা তাও একেবারে কম রেটে । প্রতি মোড়ে মোড়ে সাইবার ক্যাফে ।। কেমন আসক্ত ? একজনের কথা শুনলেই বুঝতে পারবেন । এই বছরেই ২৩ বছরের একটা ছেলে টানা ৫০ ঘন্টা ধরে গেম খেলেছে !! মনে হয় বিশ্বরেকর্ড । এই সময় তার সমস্ত শারীরিক চাহিদা সে উপেক্ষা করে । ৫০ ঘন্টা পর সে চেয়ার থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় । পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত্য ঘোষণা করা হয় (সূত্র : ন্যাশনাল জিওগ্রাফী ) । এই বছরে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে ২৪ জন মারা গেছে ও দেশে ।
7.ºএই সেই হতভাগ্য গিনিপিগ । ºবিজ্ঞানিদের জন্য যারা সব সময় বলির বস্তু ।º17º«cry» º16º º।আমাদের বাঁচানোর জন্য যারা নিজেদের প্রাণ অনিচ্ছায় দেয় ।
গিনিপিগের শরীরের অভ্যান্তরীন গঠনের সাথে মানুষের মিল আছে । তাই বিজ্ঞানীরা যখন কোন বিপদ জনক পরীক্ষা করে তখন মানুষের বদলে সে গুলো গিনিপিগদের উপর করে । 🙁 ।অনেক আগে মানুষের উপরই করত তবে পরে নিষিদ্ধ হওয়ায় সেটা ঐ বেচারা গিনিপিগদের উপরই করা হয় । যেমন : বিপদ জনক কোন ঔষধ আবিষ্কার করে সেটা টেস্ট করা হয় প্রথমে ওদের উপর ।
সামনে আবারো হাজির হব নতুন আলোর পোষ্ট নিয়ে….সাথেই থাকুন…
লিখেছেন…………”‘ বিলিভ ইট ওর নট ।’ কথা সত্য !”