ডেড সি তে মানুষ ভাসার কারণ কি ? - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

ডেড সি তে মানুষ ভাসার কারণ কি ?

Print this post

নামেতে সমুদ্র হলেও আসলে ডেড-সি একটি হ্রদ । এটি ইসরাইল ও জর্ডানের মাঝখানে অবস্থিত । এর পানির তল সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়েও ৩৯৩ মিটার নিচে । আগে কোনো দিন এটি সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল, আকাবা উপসাগরের মাধ্যমে । এখন কিন্তু এটি অবরুদ্ধ হ্রদ ছাড়া আর কিছু নয় এবং এর অবস্থান আরবের শুষ্ক অঞ্চলে হওয়ার ফলে হ্রদ থেকে বাষ্পীভবন অর্থাৎ পানি থেকে বাষ্প হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি । আর সেখানে বৃষ্টিপাতও নাম মাত্র হয় । তাই প্রতিদিনই নদীবাহিত লবণ জমে ডেড-সি এর পানিতে লবণের অনুপাত বেড়ে যাচ্ছে । বাড়তে বাড়তে এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে এর পানির আপেক্ষিক গুরুত্ব মানুষের পুরো শরীরের আপেক্ষিক গুরুত্বের চেয়েও বেশী । ফলে কোনো মানুষই এর পানিতে ঝাঁপ দিলে এখন আর ডোবেনা, ভেসেই থাকে । শুধু ডেড-সি নয়, আমেরিকা যুক্ত্রাষ্ট্রের গ্রেট সল্ট লেকেরও এখন প্রায় একই অবস্থা ।

( উল্লেখ্যঃ ডেড-সি সম্পর্কে একটা ধারণা আছে ইসলাম ধর্মে যে, হযরত ইব্রাহীম(আঃ)এর ভ্রাতুষ্পুত্র লুত (আঃ) কে আল্লাহ তাআলা নবুয়ত দান করে জর্ডান ও বায়তুল মোকাদ্দাসের মধ্যবর্তী সাদূমের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন। তখনকার সময়ে ঐ এলাকার মাটি অত্যন্ত উর্বর ছিল যার ফলে ঐ এলাকায় শস্য ও ফলের মাত্রাতিরিক্ত প্রাচুর্য ছিল এবং ঐ এলাকার মানুষ এতসব প্রাচুর্য পেয়ে কাম নেশায় মত্ত্ব হতে থাকে, তারা সবাই সমকামী ছিল । শুধুমাত্র লুত(আঃ)ও তার ২টি কন্যা ছাড়া কেউ মুসলমান ছিল না। । তখন আল্লাহ তাআলা গজব দেন ঐ এলাকাতে, গজবের ফল হিসেবে ঐ এলাকায় ফসল হয় নি, বৃষ্টির ফোটা পরেনি । এরপর থেকে ঐ সাগরের নাম মরা সাগর হয়ে যায়, যাকে এখন আমরা ডেড-সি বলি, অনেকে এটাকে লূত সাগরও বলে থাকে ।)

You can leave a response, or trackback from your own site.