হীরার গ্রহ... - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

হীরার গ্রহ…

Print this post

হীরার গ্রহ! হীরার গ্রহ! মহাকাশে অসংখ্য ছায়াপথ আর সৌরজগৎ রয়েছে। সেখানেনতুন কোনো গ্রহের সন্ধানপাওয়া সাধারণ একটি খবর। তবে এ সাধারণের মধ্যেও একটি চমকপ্রদ খবর দিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন অসাধারন একটি গ্রহ আবিস্কারের কথা, যে গ্রহটি হীরা দিয়ে তৈরি!
গ্রহটির নাম রাখা হয়েছে ‘পিএসআর জে১৭১৯-১৪৩৮’।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা সম্মিলিত এক গবেষণায় সম্প্রতি এ গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, মহাকাশে পৃথিবী থেকে চারহাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত একটি তারার ওপর পরীক্ষা- নিরীক্ষা চালাচ্ছিলেন তারা। তারাটি নিজের অক্ষে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ বার আবর্তিত হয়। ফলেএর থেকে বেশ শক্তিশালী বেতার তরঙ্গ বিচ্ছুরিত হচ্ছে। কিন্তু ওই বেতার তরঙ্গ অনুসরণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখছিলেন, তরঙ্গটি প্রায়ই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে তারাটিকে কেন্দ্র করে আবর্তনকারী ওই গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তারাটির ব্যাস মাত্র ২০ কিলোমিটার। আর একে আবর্তনকারী ‘হীরার’ ওই গ্রহটির আড়াআড়ি দূরত্ব ৬০ হাজার কিলোমিটার। গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের পাঁচ গুণ বেশি। পৃথিবীর চেয়ে এটি ৩০০ গুণ বেশি ভারী এবং এর ভর সূর্যের ভরের চেয়ে প্রায়দেড় গুণ বেশি। তারাটির মধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই বেশি যে, তারাটি আকারে আরসামান্য বড় হলেও এর আশপাশে থাকা গ্রহাণু বা উপগ্রহ ওই টানে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যেত। গবেষকদলের সদস্য অধ্যাপক ম্যাথু বেইলস জানিয়েছেন, গ্রহটির বেশির ভাগ অংশ কঠিন পদার্থ দিয়ে গঠিত। আর এ কঠিন পদার্থ আসলে কার্বনআর অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হীরা বলেই গবেষকদেরবিশ্বাস। পদার্থটির ভর বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্তে পৌছেছেন তারা। তিনি আরো জানিয়েছেন, এ ধরনের তারা আরো রয়েছে। কাজেই একই বৈশিষ্ট্যের অর্থাৎ ‘হীরায়’ তৈরি এমন আরো গ্রহ মহাকাশে রয়েছে বলে গবেষকরা ধারণা করছেন।

You can leave a response, or trackback from your own site.