মানুষের পূর্বপুরুষ ইঁদুর - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

মানুষের পূর্বপুরুষ ইঁদুর

Print this post

মানুষের পূর্বপুরুষ ইঁদুর! ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী, নর বানরের ক্রমবিকাশের মাধ্যমেই আদিম মানুষের সৃষ্টি। কিন্তু সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ইঁদুরজাতীয় এক ধরনের প্রাণীর ক্রমবিকাশের মাধমে উদ্ভব হয়েছে আদিম মানুষের
।তাদের কথা অনুযায়ী, ১৬ কোটি বছর আগে বর্তমান চীনের ঘন জঙ্গল ও গাছপালার মধ্যে ছুটে বেড়াত ইঁদুরজাতীয় এক ধরনের প্রাণী।

তাদের ক্রমবিকাশের ফল আদিম মানুষ। চীনের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ওই প্রাণীর ফসিল আবিষ্কৃত হয়। ওই ফসিলের ডিএনএ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এমন দাবি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রেরপিটসবার্গের কারনেগি মিউজিয়াম অব নেচারাল হিস্ট্রির বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, চীনের লিয়াওনিং প্রদেশে পাওয়া ‘জুরামাইয়া সিনেনসিস’ নামের ফসিলটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন কোনো প্রাণীর ফসিল।

আর এটি থেকে কেবল মানুষ নয়, একসময় পৃথিবী দাপিয়ে বেড়ানো উড়ন্ত ডাইনোসর ও আদি পাখিরও উদ্ভব। বিজ্ঞানীদের দাবি, আজকের সময়ের গরু, ইঁদুর, বানর, সিংহ, বাঘ, কুকুর, ঘোড়া, তিমি, এমনকি মানুষের মতো স্তন্যপায়ী প্রাণীর পূর্বপূরুষ ইঁদুরজাতীয় ওই প্রাণীটি। কারনেগি মিউজিয়াম অব নেচারাল হিস্ট্রির বিজ্ঞানী ড. ঝে-জি লুও বলেন, যেসব প্রাণী এখনো পৃথিবীতে নিজ অস্তিত্ব সগৌরবে টিকিয়ে রেখেছে, তাদের সবার পূর্বপুরুষ ১৬ কোটিবছর আগের ওই জুরামাইয়া।

আবিষ্কৃত ফসিল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাছ বাওয়ায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলওই প্রাণীটি। ডাইনোসরের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে তারা যে গাছে গাছে বেয়ে বেয়ে এবং জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকার কৌশল রপ্ত করেছিল এটি তা-ই নির্দেশ করে। নেচার সাময়িকীতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গবেষকরা দাবি করেন, স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভবের ইতিহাসে যে ফারাক ছিল আবিষ্কৃত এ ফসিলটি তা দূর করল।
তথ্যসূত্র : টেলিগ্রাফ, ডেইলিমেইল অনলাইন। কালের কণ্ঠ

You can leave a response, or trackback from your own site.