“‘ বিলিভ ইট ওর নট ।’ কথা সত্য !”-পর্ব 10 - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

“‘ বিলিভ ইট ওর নট ।’ কথা সত্য !”-পর্ব 10

Print this post

1.পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চকোলেট খায় সুইজারল্যান্ডের লোকেরা । সারা পৃথিবীতে এই সুইজারল্যান্ডেই বেশি চকলেট তৈরি হয় । সুইজারল্যান্ড এত বেশি চকলেট তৈরি হয় যে , এখানে চকোলেট কোম্পানি গুলো ইচ্ছে করলে তাদের দৈনিক উত্‍পাদন দিয়ে সারা দেশের প্রত্যেকটি লোককে প্রতিদিন ভরপেট চকলেট খাওয়াতে পারে !!
2.অবিশ্বাস্য বা কাকতালীয় মনে হলেও পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটেযা বিশ্বাসকরা সত্যিই কঠিন। তেমনই বেশ কিছু ঘটনা আছে সমাধি সৌধ মমিকে কেন্দ্র করে।মিসরীয় রাজা-রানীর া বিশ্বাস করত মৃত্যুর পর আত্মা পুনর্জীবিত হয়ে পুনরায় দেহে ফিরে আসে । তাই তাদের মৃত্যুর পর মৃতদেহ মমি করেকফিনে রেখে দেওয়া হতো ।এই বিশ্বাসের কারণেই মিশরে গড়ে উঠেছিল আশ্চর্যজনক সব পিরামিড। মমি আজো মানুষের কাছে এক বিস্ময়কর বিষয় । মমি-কে নিয়ে আজো মানুষের মনে রয়েছে হাজারো বিস্ময় । এ মমিকে নিয়ে বেশ কিছু অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনাও রয়েছে । আসুন তার মধ্য থেকে কয়েকটা ঘটনা আমরা জানি ।

এক সময় মিশরে দুর্দান্ত প্রতাপশালী ফারাওদের বসবাস ছিল।যাদের আমরা বলিফেরাউন জাতি। ফারাওদের মধ্যে তুতেম খামেনের নাম খুবই উল্লেখযোগ্ য । তিনি খুবঅল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন । মৃত্যুর পর তারমৃতদেহ যথারীতি একটি সোনার কফিনে মুড়ে বহু মূল্যবান ধনরত্নসহ মমি করে রেখে দেওয়াহয় । ১৯২২ সালের২৬ নভেম্বর, প্রত্মতত্ত ্ববীদ মি. হাওয়ার্ড, তার পার্টনার ও অর্থ জোগানদার কর্নারভান আবিষ্কার করেন ধনরত্ন, মণিমুক্তা খচিত ফারাও তুতেনের কফিন । সেটা ছিল পৃথিবী কাঁপানো এক ঘটনা । কিন্তু আসল ঘটনার উদ্ভব ঘটে এরপরথেকে । তুতেন খামেনের গুপ্তধন আবিষ্কারের ৫ মাসের মাথায় অর্থ জোগানদার কর্নারভানে র মৃত্যু হয় । কিভাবে বা কেন কর্নারভানে র মৃত্যু হয় তাসম্পূর্ণ অজানা । সে কি কারণে মারা যায়ডাক্তার রাও তা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হন । তারমৃত্যু আরেকবিস্ময়কর ঘটনার সৃষ্টি করে । যে মুহূর্তে তিনি মারা যান তখন মিশরের রাজধানী কায়রোর সবগুলো বাতি হঠাৎ নিভে শুধু তাই নয় , লন্ডনে তার পোষা কুকুরটিও একই সময় ছটফট করতে করতে মারাযায় । এরপর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন ,মমিটির গায়ে যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র ছিল , কর্নারভানে রশরীরও ঠিক সে রকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র হয়ে গিয়ে ছিল। কিন্তু এর প্রধান আবিষ্কারক মি. হাওয়ার্ড ৭০ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন ।
খ্রিস্টপূর ্ব একাদশ শতকে মিসরে আমেনরা নামে এক রাজ কুমারী মারা যান । তাকে যথা নিয়মে মমি করে সমাধিস্থ করা হয় । অনেক বছর পর ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তার মমিটিকেনার জন্য চারজন ইংরেজ মিসরে আসেন এবংতারা রাজকুমারী আমেনরার মমিটি ক্রয় করেন । কিন্তু এর জন্যতাদের নিদারুণ দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয় । মমিটি কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় চারজনের মধ্যে একজন মরুভূমিতে ঝড়ের কবলে পড়ে মারা যান । তারপর ইংল্যান্ডে ফেরার পর তাদেরএকজন দেখেন তারসব সম্পত্তি কেউ একজন আত্মসাৎ করেছে । অপরজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার চাকরি চলে যায় । মমিটির পরবর্তীতে স্থান হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে । কিন্তু যেই একবার মমিটিকে স্পর্শ করেছে তাকেই কোনও না কোনও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে । এমন কি এক দর্শনার্থী যে কিনা কাপড় দিয়েমমিটির মুখ পরিষ্কার করেছিলএক সপ্তাহের মধ্যে তার ছেলে মারাযায় । আর একবার এক ফটো সাংবাদিক মমিটির ছবি তুলেছিলেন ।ছবিটি ডেভেলপ করে তিনি দেখেনরাজকু মারীর মুখের বদলে এক বীভৎস ও বিকৃত মুখ । সে রাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন । এরপর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মমিটির প্রদর্শন বন্ধকরে দেন এবং এটি স্থানান্তর ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । পরের দিনই কর্মকর্তার া দেখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার লাশ পড়ে আছে টেবিলের ওপর । কিন্তু মানুষের শখ চিরন্তন । এত কিছুর পরও এক আমেরিকান পর্যটক মমিটি ক্রয় করেন এরপরস্বদেশ ে ফেরার জন্য নিউইয়র্ক গামী একটি জাহাজের কেবিন ভাড়া নেন । আর এ যাত্রাই ছিল সেই জাহাজটির প্রথম ও শেষ যাত্রা । কারণ যাত্রাপথেই জাহাজটি ডুবে যায় এবং এটিই ছিল বিশ্ব বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক ।

You can leave a response, or trackback from your own site.