হাঙরের ১০০ প্রজাতি - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

হাঙরের ১০০ প্রজাতি

Print this post

হাঙরদের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি আছে। তিনশ’ মিলিয়ন বছর আগে হাঙরদের ৩৫০ প্রকার প্রজাতি ছিল। বর্তমানে তা কমে ১০০ প্রকার প্রজাতিতে দাঁড়িয়েছে। হাঙরদের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার ধূসর হাঙর, অস্ট্রেলিয়ার সাদা হাঙর, জাপানের ডোচিজেম প্রজাতির হাঙর, বাস্কিং প্রজাতির হাঙর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও নানা প্রজাতির হাঙর আছে যেমন ডিভিপেসার, হ্যামারহেড, ডেভিল, সোয়েল, লেমনি ও নীল ইত্যাদি। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রজাতির হাঙর আছে লম্বায় ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার কিছু আছে লম্বায় মাত্র ১ ফুট। বিভিন্ন প্রজাতির হাঙরের স্বভাব-চরিত্রও ভিন্ন। এর মধ্যে কিছু কিছু ভয়ঙ্কর। এরা মানুষ খেয়ে ফেলে। আবার কিছু কিছু আছে এরা ভয়ঙ্কর নয়, এরা শুধু সমুদ্রের প্লাঙ্কটন, শম্বুক জাতীয় প্রাণী ও সামুদ্রিক মাছ খেয়ে জীবনধারণ করে। ধূসর প্রজাতির হাঙরদের দৈর্ঘ্য গড়ে ৩৫-৪০ ফুট। এদের একসঙ্গে ৬-১২টা বাচ্চা হয়। বাচ্চাগুলো প্রায় ২ ফুট লম্বা হয়। সাধারণত বছরে একবার বাচ্চা হয়। ভয়ঙ্কর প্রজাতির ও সাদা প্রজাতির হাঙরদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ ফুট হয়ে থাকে। সমুদ্রে যত ধরনের হাঙর দেখা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর নীল প্রজাতির হাঙর। এদের শরীরের উপরের অংশ নীল আর নিচের অংশ সাদা রংয়ের। হাঙররা ৫০ ফুট জলের নিচে বাস করে।

বিশ্বজুড়ে হাঙর শিকার যেভাবে চলছে তাতে সমুদ্রের আর পাঁচটা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর মতো হাঙরও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে। বিজ্ঞানীদের তাই অভিমত। হাঙরদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করে হাঙর শিকার বন্ধ করা উচিত।

You can leave a response, or trackback from your own site.