বৈচিত্রপূর্ন ও বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক মাছ - প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light | প্রযুক্তির আলোয় * আলোকিত জগৎ | The whole technology of light

বৈচিত্রপূর্ন ও বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক মাছ

Print this post

বৈচিত্র্যময় এ প্রাণিজগতে বিচিত্র প্রাণির বসবাস। সাগর তলের প্রাণিজগতের বৈচিত্র্য আরো বিস্ময়কর। সাগরতলের এটি বিস্ময়কর প্রাণির নাম বিদ্যুৎ মাছ। ইংরেজিতে ইলেক্ট্রিক ফিশ বলা হয়। ইলেক্ট্রিক ফিশ বা বিদ্যুৎ মাছ এমনই একটি মাছ, যেটা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। একটি ইলেক্ট্রিক ফিশ তার বৈদ্যুতিক অঙ্গের শক দ্বারা একটি শক্তিশালী ঘোড়াকে মুহূর্তের মধ্যে কাবু করে ফেলতে পারে। যে মাছ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র উৎপাদনে সক্ষম তাকে বলা ইলেক্ট্রোজেনিক মাছ। আর যে মাছ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র শুধু সনাক্ত করতে পারে তাকে ইলেকট্রোরিসেপটিভ মাছ বলা হয়।কিছু মাছ আছে যারা ইলেক্ট্রোজেনিক এবং ইলেকট্রোরিসেপটিভ উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে। হাঙ্গর, বিভিন্ন রে ফিশ এবং ক্যাট ফিশ ইত্যাদি মাছ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র উৎপন্ন করতে অক্ষম। এজন্য এদের বিদ্যুৎ মাছের শ্রেণীভুক্ত করা হয়নি। লোনা ও স্বাদু উভয় ধরনের পানিতে বিদ্যুৎ মাছ পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিন আফ্রিকার সাগর ও নদীর স্বচ্ছ পানিতে এ মাছ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতের বৈদ্যুতিক মাছের মধ্যে একেক জাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক ধরনের। ইলেক্ট্রিক ইল নামক মাছ শুধু রাতের বেলায় শিকার খুঁজতে বের হয়। এর ইলেক্ট্রিক শকের ক্ষমতা এত বেশি যে বড় প্রাণীও ঘায়েল হয়ে যায়। দক্ষিণ আমেরিকার নদনদীতে এবং খালবিলে এই বিপজ্জনক মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ মাছ তার বিশেষভাবে গঠিত যে অঙ্গ থেকে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র উৎপন্ন করে তাকে বলা হয় ইলেক্ট্রিক অর্গান বা বৈদ্যুতিক অঙ্গ। এই অঙ্গ পরিবর্তিত পেশি বা স্নায়ুকোষ দ্বারা বিশেষভাবে গঠিত শুধু বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরী করার জন্যই। এই বৈদ্যুতিক অঙ্গ বৈদ্যুতিক মাছের লেজে অবস্থিত। এ অঙ্গ থেকে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক শক্তিকে ইংরেজীতে বলা হয় Electric Organ Discharge. সংক্ষেপে EOD। ইলেক্ট্রিক ফিশ দু’ধরণের- শক্তিশালী ও দুর্বল। শক্তিশালী ফিশ ১০থেকে ৫০০ ভোল্ট বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারে। যেমন- ইলেক্ট্রিক ইল, ইলেক্ট্রিক রে, ইলেক্ট্রিক ক্যাটফিশ। দুর্বল ফিশ কম বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। যেটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তা পথ চলা,বস্তু সনাক্তকরণ ও যোগাযোগ করতে সক্ষম। যেমন- Gnathomemus Petersi এবং Apteronotus Albifrons. বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত প্রায় তিন শ রকম মাছের সন্ধান পেয়েছেন, যেগুলো ০.২ থেকে ২ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এগুলো সাধারনত নিরীহ প্রকৃতির এবং চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। তবে প্রকৃতিগতভাবে ভয়ংকর।

বিদ্যুৎ মাছ

বৈদ্যুতিক রে ফিশ

You can leave a response, or trackback from your own site.